মেটার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ফ্যাক্টচেকিং প্রোগ্রামগুলো অতিমাত্রায় সেন্সরশিপের দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে যে দাবি করেছেন, তা মিথ্যা। গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হয়েছে।

জাকারবার্গের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোতে ফ্যাক্টচেকিং বাদ দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘জাকারবার্গের দাবি মিথ্যা। আমরা বর্তমান প্রেক্ষাপট এবং ঐতিহাসিক রেকর্ড উভয়ের জন্যই এ ক্ষেত্রের রেকর্ড ঠিক রাখতে চাই।’

গত মঙ্গলবার জাকারবার্গ মেটার কনটেন্ট সম্পাদনা নীতিমালায় পরিবর্তন আনার ঘোষণা দেন। এ সময় অভিযোগ করেন, ফ্যাক্টচেকাররা রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট। এ ছাড়া আরও অভিযোগ করেন, ফ্যাক্টচেকাররা অতিমাত্রায় ভুল করছেন এবং সেন্সরশিপ করছেন।

আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশে ফ্যাক্টচেকিং কার্যক্রম বন্ধ করা হলে তার মারাত্মক প্রভাব পড়বে। এসব দেশের মধ্যে কিছু দেশ ভুয়া তথ্যের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং সেখানে রাজনৈতিক অস্থিরতা, নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, উচ্ছৃঙ্খল জনতার সহিংসতা ও গণহত্যার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, বিশ্বব্যাপী মেটা ফ্যাক্টচেকিং কার্যক্রম বন্ধ করলে তা নিশ্চিতভাবে অনেক স্থানে বাস্তব ক্ষতির ঘটনা ঘটাতে পারে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার, হল খুলবে ২ মে

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে আগামী ২ মে থেকে সব আবাসিক হল শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহেদুজ্জামান শেখ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া দুঃখজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ৯৮তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিলগালা অবস্থায় আজকের (সোমবার) সভায় উপস্থাপন করা হয় এবং তদন্ত প্রতিবেদনটি সিন্ডিকেট গ্রহণ করে। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে শুরু হবে এবং আবাসিক হলগুলো আগামী ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

তবে কোন কোন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং তাঁদের বহিষ্কারাদেশ কত দিনের জন্য, সেসব তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলেছেন, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করবেন। যতক্ষণ না পর্যন্ত হল খোলা হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা এই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

হল খুলে দেওয়ার দাবিতে কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে তোলা ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ